সৌদি-ইসরায়েল মিত্রতা ধ্বংস করাই হামাসের লক্ষ্য : বাইডেন

মত ও পথ ডেস্ক

নেতানিয়াহু-যুবরাজ সালমান-বাইডেন। ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সাম্প্রতিক হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতা সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্ভাব্য মিত্রতা সমূলে ধ্বংস করা; মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমনটাই মনে করেন।

শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলা চলানোর অন্যতম কারণ হলো… তারা জানে যে আমি ইসরায়েল-সৌদির সম্পর্ক ঘনিষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছি এবং (এ ব্যাপারে) সৌদির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে রাষ্ট্র আকারে গঠন হতে থাকা ইসরায়েলকে মেনে নেয়নি ওই অঞ্চলের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের মুসলিম শাসিত এই রাষ্ট্রগুলোর বৈরী সম্পর্ক ছিল।

২০২১ সালে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় মার্কিন প্রশাসন। এই ধারাবাহিকতায় গত দু’বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কও স্থাপিতও হয়েছে।

গত বছর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছিল; কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা পুরো পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার এই সাম্প্রতিক যুদ্ধ ও তার জেরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ব্যাপক ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান এবং সেই সঙ্গে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য মিত্রতাকে এই মুহূর্তে ‘খুব জরুরি’ নয় বলে মনে করছে সৌদি। কারণ এই মুহূর্তে এ বিষয়ে এগোলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে দেশটির যে প্রভাব, তা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। গত দু’সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজা ভূখণ্ডে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ হাজার।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করুন