ইরাকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে অবস্থানরত সেনাদের অবিলম্বে দেশে ফিরে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা হয়েছে। শনিবারের বিবৃতিতে এসব হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক বলে, ওইসব হামলা ছিল কেবল সতর্কবার্তা। আমরা এখনো আসল হামলা শুরু করিনি। আমরা আশা করি, মূল হামলা শুরুর আগেই মার্কিন সেনারা ইরাক ত্যাগ করবে।
বিবৃতির শেষ দিকে ইসরায়েলের উদ্দেশেও হুমকি দিয়েছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক। এ প্রসঙ্গে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি সত্যিই ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে, তাহল জর্ডান সীমান্তের ব্যাপারেও তাদের সতর্ক থাকা উচিত হবে। কারণ স্থল অভিযান শুরু করলে সেখানে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।
গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪ হাজার ১৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে শিশু ১ হাজার ৫২৪, আর নারী ১ হাজারের বেশি। এছাড়া শুক্রবার (২০ অক্টোবর) পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের একটি সূত্র বলছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের নাগরিক নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। আহত ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ সাংবাদিক নিহত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৮ জন ফিলিস্তিনি, তিনজন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৫ সাংবাদিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় এবং দুজন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আরও ৮ সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং তিনজন নিখোঁজ বা আটক হয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল