টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার। শেষদিকে নেমে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই দ্রুততম সেঞ্চুরি করে বসলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়া পেলো ৮ উইকেটে ৩৯৯ রানের বিশাল পুঁজি। অর্থাৎ জিততে হলে ৪০০ রান করতে হবে নেদারল্যান্ডসকে।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৩ বলে ২৮ রান।
১৫ বল খেলে ৯ রান করা মার্শকে ফিরিয়ে অসি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ফন বিক। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দাঁড়িয়ে যান ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ। ১১৮ বলে ১৩২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা।
স্মিথ (৬৮ বলে ৭১) দেখেশুনে খেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বড় জুটিটি ভাঙেন আরিয়ান দত্ত। এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে ৭৬ বলে ৮৪ রান যোগ করেন ওয়ার্নার। লাবুশেন ৪৭ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন।
তবে ওয়ার্নার চলতি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৮৫ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত করেন ১২৪ বলে ঝোড়ো ১৬৩।
এবার অসি ওপেনার সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ৯১ বলে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ২২তম সেঞ্চুরি আর বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে ষষ্ঠ।
বেস ডে লেডের করা ইনিংসের ৩৯তম ওভারে ওয়ার্নার সেঞ্চুরির করার পরপরই জশ ইংলিশ আউট হয়ে যান ১২ বলে ১৪ করে। ফন বিকের করা পরের ওভারে ওয়ার্নারও সেঞ্চুরির পর সাজঘরে ফিরে যান।
২৯০ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি হাঁকান ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন অসি এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪৪ বলে ১০৬ করে। দানবীয় ইনিংসে ছিল ৯ চার আর ৮টি ছক্কার মার।
নেদারল্যান্ডসের লগান ফন বিক ৭৪ রানে নেন ৪টি উইকেট।