উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আরও অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (২৫ অক্টোবর) রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
লন্ডভন্ড কক্সবাজার
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে কক্সবাজার শহরের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে হামুন উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।
সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের গতি ছিল অনেক বেশি। সেসময়ে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। বড় বড় অনেক গাছও দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ভেঙে উড়ে গেছে দোকানপাটও।
কক্সবাজার শহরের মতো মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ভেঙেছে গাছগাছালি। এতে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ঝড়ের বড় প্রভাব পড়েনি।
তিন জনের মৃত্যু
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিন জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে একজন পৌরসভা এলাকায়, একজন মহেশখালী ও একজন চকরিয়ায় মারা গেছেন।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।