ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড কী শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারবে? এখনও পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স দেখালো ইংলিশরা, তাতে মনে হয় না সেমিফাইনালেও যেতে পারবে জস বাটলারের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হারতে হলো ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
ভারত বিশ্বকাপে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তুলনামূলক ছোট দলগুলোর সাথেও নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে তাদের। নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও এরপর হেরেছে আফগানিস্তানের মতো দলের কাছে।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সর্বশেষ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে শ্রীলঙ্কার কাছেও হারলো বড় ব্যবধানে। এবারের আসরে এটি তাদের চতুর্থ এবং একইসঙ্গে টানা তৃতীয় হার।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেঙ্গালুরু এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৫৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ বল (২৪.২ ওভার) আর ৮ উইকেট হাতে রেখে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় লঙ্কানরা।
ইংলিশদের দেওয়া অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। দলীয় ৯ রানে প্রথম এবং ২৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় কুশল মেন্ডিসের দল। ওপেনার কুশল পেরারা ফেরেন ৪ রানে। ১১ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক মেন্ডিস।
শুরুর ধাক্কা সামনে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও মিডল অর্ডার ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা। দু’জনের ১৩৭ রানের অনবদ্য জুটির ওপর ভর করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটার।
দুইজনেই তুলে নেন দুর্দান্ত ফিফটি। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান নিশাঙ্কা। ইংলিশদের বিপক্ষে ৮৩ বলে ৭৭ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সামারাবিক্রমার করেছেন ৫৪ বলে ৬৫ রান। নিশাঙ্কা ৭ বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কার মার এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার। লঙ্কানদের ২টি উইকেটই নেন ডেভিড উইলি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.২ ওভারে ১৫৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বেন স্টোকস। ৩০ রান করেন জনি বেয়ারেস্ট এবং ২৮ রান করেন ডেভিড মালান। লাহিরু কুমারা ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচ সেরা।