বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে একই সঙ্গে এ কর্মসূচি পালনে দলটিকে একগুচ্ছ শর্ত দেওয়া হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। একই দিন রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ ঘিরেও সমানসংখ্যক শর্ত দেওয়া হয়েছে।
দুই দলকেই দুপুর ১২টার আগে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের জমায়েত না করতে বলা হয়েছে। দুই পক্ষের সমাবেশ ও মহাসমাবেশ বেলা ২টায় শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। বিএনপিকে দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি শর্ত হচ্ছে, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতি ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করেন। বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হলো—
বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য ২০ শর্ত
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।
৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।
৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
১৩. রাস্তার বাঁ লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের জন্য ২০ শর্ত- ১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।
৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।
৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
১৩. রাস্তার বাঁ লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।