বিএনপির সংঘর্ষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামীম মিয়া রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

যুবদলের এক নেতা বলেছেন, আজ শনিবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে শামীম মিয়া মারা গেছেন। বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার বলেছেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

universel cardiac hospital

রেজাউল হায়দার বলেন, বিকেলে পুলিশ হাসপাতালের সামনে যখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হচ্ছিল, সে সময় ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি একজন চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন বলে জানা গেছে।

শামীম যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দাবি করে মুগদা থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী সুমন বলেছেন, তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। তবে শামীম মিয়া কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তার পরিবারও নিশ্চিত করতে পারেনি। শামীমের মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন তার ছোট ভাই নূর মোহাম্মদ।

তিনি সন্ধ্যা সাতটার দিকে বলেন, তার ভাইয়ের (শামীমের) মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এখন বলছে, ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে মরদেহ পাঠানো হবে। সে জন্য তারা অপেক্ষা করছেন।

নূর মোহাম্মদ আরও বলেন, শামীম মোল্লার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পেশায় প্রাইভেট কার চালক ছিলেন। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তার জানা নেই। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলার সময় তিন-চারজন লোক শামীমকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে গেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। এই উপলক্ষে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। এই সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আহত একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন।

শেয়ার করুন