স্বেচ্ছায় মরণোত্তর চক্ষুদানে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

মত ও পথ ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি মরণোত্তর চক্ষুদানে সবাইকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বলেন, দেশে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ববরণ করছে। কিশোর-কিশোরী এবং কর্মক্ষম ব্যক্তিরা এই কর্নিয়াজনিত কারণে অন্ধ হচ্ছেন। এই বিপুল সংখ্যক অন্ধ ব্যক্তির চিকিৎসায় পরিবার ও রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো এই বিপুল সংখ্যক অন্ধ মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া। আর কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের ক্ষেত্রে মানব কর্নিয়া প্রতিস্থাপনই একমাত্র চিকিৎসা। তাই কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি মরণোত্তর চক্ষুদানে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।

universel cardiac hospital

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্রছাত্রী কর্তৃক পরিচালিত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী বিগত চার দশকের বেশি সময় যাবৎ স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জরুরি অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা, অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে দেশে রক্তের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় মানুষকে সচেতন করে রক্তের যোগান বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, মানবহিতৈষী এ কর্মকাণ্ডে সন্ধানীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

শেয়ার করুন