অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। আবার সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে সেটি ঠিক কবে নাগাদ হতে পারে তা নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। তবে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে একমত প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সাথে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সদস্যরা।
প্রেসিডেন্টে কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মূলত পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশেই তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কোর্ট ইসিকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে। এর আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আদালতে জানিয়েছিল আগামী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আদালত এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দেন।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেও সাইফার মামলায় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বারবার জামিন চেয়েও মুক্তি মিলছে না তার। এমন অবস্থার মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করল দেশটির নির্বাচন কমিশন।