ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির উদ্যোগে ইমাম ও ওলামা-মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলে এসেছি। এখানকার কোনো হাক্কানী আলেমের সাথে আমার কোনো প্রকার বিদ্বেষ-মনোমালিন্য নেই। আগামীদিনেও আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মানীয় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে গভীর আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলতে চাই।
তিনি বলেন, আমি সুযোগ পেলেই মসজিদ-মাদ্রাসা ও আলেমদের সেবার করেছি ভবিষ্যতেও করবো।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আলেম-ওলামাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবার কোনো কারণও আমার পক্ষ থেকে ঘটেনি-যেটা আমি জোর গলায় বলতে পারি। কেউ যদি সম্পর্ক না রাখতে চায় তবে জোর করে কারো সাথে সম্পর্ক রাখা যায় না। কেউ যদি অহেতুক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেন এবং প্রতিনিয়ত এটা করতে থাকেন তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যায়না।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি গুঁজামিল পছন্দ করেন না: আবদুর রহিম কাসেমী
জামেয়া কাসিমিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও জামিয়া ইউনূসিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন সদস্যসচিব মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী বলেন, এখন আপনার পক্ষে একটু পরে আপনার বিপক্ষে, এই হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় হুজুরদের চরিত্র! উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়ের দোষ একটাই, সেটি হলো- তিনি স্পষ্টবাদী। তিনি গুঁজামিল পছন্দ করেন না।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যারা নিজেদেরকে বড় হুজুর দাবি করেন, তারা যে মিথ্যা কথা বলেন সেটি আমি প্রমাণ করতে পারবো। তাদেরকে আপনারা আমার সামনে আনেন, যদি প্রমাণ করতে না পারি তাহলে আর কোনোদিন টুপি পরে বের হবো না।’ ওনি যে স্বচ্ছ মানুষ এবং সবসময় সত্য কথা বলেন এজন্য আমরা দেখি, এসব কথা ওমুক মাওলানা, তমুক মাওলানার বিরুদ্ধে যায়, এসব বিষয়ের একজন রাজসাক্ষী আমি।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার শীর্ষ আলেম আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব, যিনি কওমি শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি, তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আপনাদের এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তো সারাদেশের একনম্বর পাওয়ারফুল এমপি এবং স্বচ্ছ মানুষ।
বিজয়নগর মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ।
ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি ক্বারী আনিসুর রহমানের কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ঘাটিয়ারা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী আবুল কালাম, জামিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মালিহাতা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, উড়শীউড়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বিজ্ঞ পিপি এড.মাহবুবুল আলম খোকন।
বিশিষ্ট আলেমদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আল-আমিন, ভাদুঘর শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা জাবের আল মনসুর, জামিয়া রাজ্জাকিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ফরহাদ উদ্দিন, ভাটপাড়া দারুস সালাম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মনির হোসাইন, অষ্টগ্রাম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমান, শ্রীপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শরীফ হোসেন, মজলিশপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল হালিম, মৌলভীপাড়া মসজিদের ইমাম যাকারিয়া, তালশহর আলিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মো.ইসমাঈল, সদর মডেল মাদ্রাসার ইমাম মাওলানা ইরফানুল হক।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি মো.হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এড.লোকমান হোসেন প্রমুখ।
সভায় মোনাজাত পরিচালনা করেন পূর্ব পাইকপাড়া হামেস মসজিদের ইমাম আল্লামা হেদায়েতউল্লাহ নূর