চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২৫৩ রানেই অল আউট হয়েছে ইংল্যান্ড। যার ফলে অজিরা তুলে নিয়েছে ৩৩ রানের জয়। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালের দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল। আর সবমিলিয়ে আসরে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান ইংলিশদের।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯ রানেই ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা। ২ উইকেট হারিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান ও বেন স্টোকস। এই দুই ব্যাটার আজ অজিদের বিপক্ষে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
লক্ষ তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনিং জুটি ভাঙে ইংলিশদের।ইনিংসের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের শিকার হয়েফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তিনি।
জনি বেয়ারস্টোর পথ ধরে পিরে যান জো রুটও। ১৭ বলে ১৩ রান করে মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১৯ রানেই ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
১৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ডেভিড মালান ও বেন স্টোকস। এই দুই ব্যাটারই আজ তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। ডেভিড মালান অর্ধশতক তুলে নেন ৬৩ বলে আর বেন স্টোকস ৫০ রান তুলে নেন ৭৪ বলে।
তবে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর নিজের ইনিংসে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। ৬৪ বলে ৫০ রান করে প্যাটি কামিন্সের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৮৪ রানের জুটি।
ডেভিড মালানের বিদায়ের পর এতপ্রান্ত আগলে রাখেন বেন স্টোকস। অন্যপ্রান্তে তখন আসা যাওযার মিছিল। শেষে বেন স্টোকসও ফিরে যান ৬৪ রানে।তার বিদায়ে বিপাকে পড়ে ইংলিশরা। শেষদিকে মঈন আলী আশা দেখালেও থেমেছেন ৪২ রানে। ফলে জয়ের দেখাও মিলেনি ইংলিশদের। ৪৮ ওভার ১ বলেই ২৫৩ রানে অল আউট হয়েছে তারা। আর অজিরা তুলে নিয়েছে ৩৩ রানের জয়।
সবমিলিয়ে আসরে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান ইংলিশদের। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে নয় নম্বরে আছে বাংলাদেশ।
এর আগে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় অজিরা। ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে ১০ বলে ১১ রান করে ফিরে যান ট্র্যাভিস হেড।
ট্র্যাভিস হেডের পথ ধরে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নারও। দলীয় ৩৮ রানে ক্রিস ওকসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি।
৩৮ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর জুটি গড়েন স্টিভেন স্মিথ ও মারনাস লাবুশেন। অর্ধশতকের আশা জাগিয়ে ৪৪ রানে স্টিভেন স্মিথ ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
স্টিভেন স্মিথের পথ ধরে ফিরে যান জশ ইংলিসও। আদিল রশিদের শিকার হয়ে ৬ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান তিনি।
১১৭ রানে ৪ উইকেট যাওয়ার পর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে জুটি গড়েন মারনাস লাবুশেন। এই জুটি থেকে আসে ৬১ রান। ৮৩ বলে ৭১ রান করে আদিল রশিদের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
মারনাস লাবুশেনের পরে ফিরে যান অর্ধশতকের আশা জাগানো ক্যামেরন গ্রিনও। ৫২ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৮৬ রানে অলআউট হয় অজিরা।