প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার মসজিদে নববীতে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন। তিনি মসজিদে নববিতে আসরের নামাজ আদায় ও ফাতেহা পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। খবর বাসসের।
এর আগে তিনি জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সমন্বয়ে সৌদি আরব আগামী ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলন আয়োজন করছে।এশার নামাজের পর প্রধানমন্ত্রী মক্কার মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
আগামী ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ভাষণ দেবেন। ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিয়েহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আফনান আলশুয়াইবি ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও তিনি উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন এবং তাঁর সম্মানে নৈশভোজে অংশ নেবেন। ৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা মক্কার উদ্দেশ্যে জেদ্দা ত্যাগ করবেন, যেখানে তিনি আল মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) নামাজ আদায় করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী স্বদেশের উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি ঢাকার এইচএসআইএ-তে অবতরণের কথা রয়েছে। সম্মেলনে পাঁচটি বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে এবং ‘ইসলামে জেদ্দা ডকুমেন্ট অব উইমেন’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশিত হবে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে মৌরিতানিয়ায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ৪৯ তম অধিবেশনে ইসলামে নারীদের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয় এবং জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সাথে সমন্বয় করে সৌদি আরব এটি আয়োজনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়।
মুসলিম উম্মাহর পন্ডিতদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইসলামে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব, বিশেষ করে ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার স্পষ্ট করাই এই সম্মেলনের লক্ষ্য।