বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খোঁজা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল। একইসঙ্গে তিনি বিরোধী দলের অন্তত ৮ হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রোববার রাতে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে এ বার্তা দেন।
এতে জোসেপ বরেল বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের ৮ হাজার কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ন্যায়বিচার সকল ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি। মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা জরুরি।
এর আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রকৃত সংলাপকে উৎসাহিত করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল। এ ছাড়া বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা এবং সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন তিনি।
গত ১২ জুন জোসেপ বরেলকে বাংলাদেশ ইস্যুতে চিঠি দিয়ে ছিলেন ইইউর ৬ সংসদ সদস্য। এর জবাবে গত ৬ জুলাই ৬ সংসদ সদস্যকে এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন জোসেপ বরেল।
৬ সংসদ সদস্য বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অবাধ, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রতি ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এর উত্তরে জোসেপ বরেল বলেছিলেন, ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত সংলাপে রয়েছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ইইউর রাজনীতি ও মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ফলে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিয়ত এ বিষয়গুলো আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরি।
তিনি আরও বলেছিলেন, ইইউর কাছ থেকে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেয়ে থাকে। জিএসপি সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যার মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ রয়েছে। ইইউ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।