শিরোনাম দেখে কিছুটা অবাক হতেই পারেন! দিল্লি জয় আবার কিভাবে সম্ভব? খোলাসা করা যাক তাহলে, বিশ্বকাপের অষ্টম ম্যাচে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। আগেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া বাংলাদেশ এই ম্যাচে মাঠে নামবে ভালো কিছুর করার প্রত্যয় নিয়ে।
টানা ছয় হারে বিশ্বজাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে আগেই। স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটা জায়গা অন্তত নিশ্চিত করতেই চাইবে টাইগাররা। সেই স্বপ্নটাও ধাক্কা খেতে পারে সোমবারের ম্যাচে হেরে গেলে। আরও স্পষ্ট করে বললে, ২০২৫ সালের আইসিসির ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আর পাবেনা বাংলাদেশ।
দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য যথেষ্ট আশাবাদী এই ম্যাচে ভালো করতে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে হাথুরু বলছিলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার ভাবনায় শুধু সামনের ম্যাচ। পরের ম্যাচটা আমরা কিভাবে জিততে পারি সেটাই ভাবছি। আমরা সবকিছুই ঠিকঠাক করছি। ট্রেনিং করছি, খেলোয়াড়দের মুড ভালো, তারা সবাই কঠোরভাবে চেষ্টা করছে। তারা সবাই ভালো করতে চায়। এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যতটা সম্ভব সবাইকে সবদিক থেকে চাপমুক্ত রাখা।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ মানেই আজকাল বাড়তি উন্মাদনা। দুই দলই একে অন্যের বিপক্ষে মাঠে বা মাঠের বাইরে আগ্রাসী আচরণ দেখিয়ে আসছে। অনেকের কাছেই এই ম্যাচ পরিচিতি পেয়েছে ‘নাগিন ডার্বি’ হিসেবে। যদিও সাম্প্রতিক সাক্ষাৎ বাংলাদেশকে খুব একটা স্বস্তি দেবে না। সবশেষ এশিয়া কাপের দুই দেখাতেই বাংলাদেশ হেরেছে লঙ্কানদের কাছে। আর বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষে কোন জয় না পাওয়ার বিষয়টি তো আছেই।
দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়েও অনেকের চিন্তার কারণ রয়েছে। তবে হাথুরু জানালের সমস্যা সবার জন্যই সমান, ‘বায়ু দূষণের কারণে দুই দলই ভুগবে। এটা আদর্শ নয় (এমন অবস্থায় খেলা), কিন্তু আমাদের কোন বিকল্পও নেই। আমাদের সামনে খেলার জন্য এই কন্ডিশনই আছে। কিন্তু পিচ ও গ্রাউন্ড খুব ভালো। আমার মনে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পিচে আমরা খেলতে যাচ্ছি। আমাদের দুই দলের অবস্থাই একই, উঁচুতে থেকে শেষ করার চেষ্টা করব।’
হাথুরু আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা নিজেদেরকে বাড়তি প্রত্যাশা দিয়ে দমিয়ে রেখেছি। এই একটা ব্যাপার নিয়েই আমরা ভাবতে পারি, কারণ আপনি ঠিকই বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অথবা বিশ্বকাপে আসার আগে খেলা সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। সেদিক থেকে আমাদের আয়নায় তাকাতে হবে আর দেখতে হবে কী ভুল হলো।’