রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনসহ অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৮৭ সালের এ দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ স্লোগান শরীরে ধারণ করে অন্যায়, অবিচার আর অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহীদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
শহীদ নূর হোসেন দিবসে নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘আমরা কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করি’। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনসহ আরও অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সবার আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন।