দেশের রাজনীতিতে প্রচণ্ড নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে: সুলতানা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুলতানা কামাল
সুলতানা কামাল। ফাইল ছবি

দেশের রাজনীতিতে প্রচণ্ড নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ব্যক্তি, দল, ক্ষমতা ও রাজনীতির স্বার্থে এবং একটি চেয়ারের দিকে তাকিয়ে মানুষকে দেশাত্মবোধের বিষয়গুলো ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সব মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়েছিল। সেটি কতটা মনে রাখা গেছে? এই ভুলে যাওয়ার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ‘লারমা তোমায় লাল সালাম’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটি। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে নির্মমভাবে নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা)।

universel cardiac hospital

মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন, ’৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ— প্রতিটি ক্ষেত্রে সব মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এমন একটি বাংলাদেশ হবে, যেখানে সবাই তার নিজ নিজ পরিচয়ে, মাথা উঁচু করে সম্মানিত নাগরিক হিসেবে জীবন যাপন করবে। কিন্তু কথায় ও কাজে এত তফাত হয়ে গেল কীভাবে?

দেশের রাজনীতিতে প্রচণ্ড নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রবোধের এত অভাব, মানুষের অধিকারবোধের এত অভাব, নিজেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা, নিজের অধিকারহীনতা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাওয়া। সবকিছুর পেছনে সেই বিস্মরণ। আমরা মানুষকে ভুলে গেছি। সব মানুষের অস্তিত্বকে গ্রহণ করতে পারিনি।

সমাজে অনুসরণ করার মতো মানুষের ভীষণ দুর্ভিক্ষ চলছে জানিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, আমরা জানি না কাকে অনুসরণ করতে পারি? আমার সন্তানকে কোন নামটা নিয়ে বলতে পারি, এর মতো তুমি হও। এই দুর্ভিক্ষ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

শেয়ার করুন