আরব বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে

মত ও পথ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থন ভালোভাবে নেয়নি আরব বিশ্ব। দিন যত সামনে গড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনবিরোধী মনোভাব তত বাড়ছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে এ বিষয়ে কড়াভাবে সতর্ক করেছে এই অঞ্চলে নিযুক্ত আমেরিকান কূটনীতিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক গোপন মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

ওই তারবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরব বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ সম্পর্কে আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে আরবদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ক্ষোভের জন্ম হয়। টানা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিশু রয়েছে। পূর্ণ অবরোধের কারণে পর্যাপ্ত মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না পারায় সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

গত বুধবার বেশ কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে ওমানে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে তথ্যযুদ্ধে আমরা ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ছি। গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থনকে তারা নৈতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।

এই গোপন তারবার্তাটি মাস্কাটের মার্কিন দূতাবাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা লিখেছেন। এরপর সেটি হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও এফবিআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কায়রোর আমেরিকান দূতাবাসের একটি তারবার্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিষ্ঠুরতা ও অবজ্ঞা আগের সব মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছাড়িয়ে গেছে।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এতকরফা সমর্থনের বিষয়টি আরব বিশ্বের মার্কিন মিত্ররাও ভালোভাবে নেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভের বিষয়টি সম্প্রতি তারা জানিয়েছে দিয়েছে।

গত শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আরব বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তাকে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। তারা পুনরায় সংগঠিত হবে এবং ইসরায়েলে আবারও হামলা চালাবে।

শেয়ার করুন