একে তো বিশ্বকাপে লজ্জার হার। তার উপরে আরও বড় একটা ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শুক্রবার আইসিসির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পায় শ্রীলঙ্কা।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইসিসি বোর্ড আজ সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।’
বলা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণেই এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এসএলসির সব জায়গায় শ্রীলঙ্কা সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি। বোর্ড পরিচালনা থেকে আর্থিক বিষয়াদি এমনকি জাতীয় দলের বিভিন্ন বিষয়েও শ্রীলঙ্কা সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বিগ্ন ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)ও একই ধরনের স্থগিতাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল, যা তাদের ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।
ভারত বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে গত ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন নতুন কমিটি। তবে এর একদিন না যেতেই মঙ্গলবার ক্রীড়ামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল করে শ্রীলঙ্কার আপিল আদালত। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। শুক্রবার জরুরি সভা আহ্বান করে আইসিসি বোর্ড। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বিশেষ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে।
ইতোমধ্যে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে পাঁচ উইকেটে। ১০ দলের বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে থেকে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রার ইতি টেনেছে লঙ্কান ক্রিকেট দল। এমনকি পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে থাকায় আগামী ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।