ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা। ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬টি শিশু মারা গেছে। আর উপত্যকাটিতে হামলায় আহত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিনি। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩২০ জন করে নিহত হচ্ছে বলে জাতিসংঘ। খবর আল-জাজিরার
এদিকে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ক’দিন ধরেই অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশপাশে গুলি চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। এরই মধ্যে হাসপাতালটির কার্ডিয়াক ওয়ার্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনিবার্য মৃত্যুর মুখোমুখি হাসপাতালের রোগী ও আহতরা। কারণ, তাদের জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটির পরিচালক জানিয়েছেন, চরম বিপদে রয়েছেন ৩৬ শিশুসহ ৬৫০ রোগী। ইনকিউবেটরে থাকা অর্ধশত শিশুও মৃত্যুঝুঁকিতে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েল বলেছে, হামাসের সদস্যরা অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছেন। ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করেছেন। এরপর ইসরায়েল আকাশপথে হামলা চালায় গাজায়। পরে তারা স্থল অভিযানও শুরু করে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবারের পর প্রায় দু’দিন ফিলিস্তিনি হতাহতের পরিসংখ্যান দেওয়া বন্ধ ছিল। রোববার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ১৩০ বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী রয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী মৃত বা আহতদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি। ফলে সঠিক হিসাব দেওয়া যায়নি। গতকাল পর্যন্ত আহত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।