সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে জানিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবিক পরিষদের ৪৪তম সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা-ইউপিআরের শুনানি শেষে রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী জানান, এতে অংশ নেওয়া ১১১টি দেশের মধ্যে প্রায় ৯০টি দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া ও কানাডা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলেছে। এর প্রেক্ষিতে সংবিধান ও আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে যথাসময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গুম, নিপীড়ন, শ্রমিক অধিকার, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে অন্যান্য দেশের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হবে।
ইউপিআরের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি জানান, যে দেশগুলো বাংলাদেশ নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলে সেসব দেশকে এই ধরনের পর্যালোচনায় আরও বেশি কথা শুনতে হয়।
মানবাধিকার কমিশনের এই শুনানিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতির প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনসহ সংশ্লিষ্ট সব আইন সংস্কারের তাগিদ জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সনদ অনুযায়ী গুম, নির্যাতন ও বৈষম্য প্রতিরোধে চুক্তি স্বাক্ষরেরও আহ্বান জানান তারা।
আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এই শুনানির ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষভাবে আলোচিত। এমন পরিস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জেনেভায় শুনানিতে অংশ নিয়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন।