আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) শেখ হাসিনা সরণি (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দুই এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তপশিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে), স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়াই তাদের চেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এ দেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি জারি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। বিচারের হাত থেকে তাদের মুক্ত রাখে। যুদ্ধাপরাধী, নারী ধর্ষণকারী, লুটপাটকারী, গণহত্যাকারী, অগ্নিসংযোগকারী, যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছিল তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তাদেরও ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসায় জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত রয়েছেন সবাইকে এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যারা সংযুক্ত রয়েছেন, যাদের আমি দেখতে পাচ্ছি, আর যাদের দেখতে পাচ্ছি না সবার জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। চোখে না দেখলেও মনে রাখবেন, বাংলাদেশের জনগণ যে যেখানে থাকেন আপনারা আমার হৃদয়ে আছেন। আমার হৃদয়ে আপনাদের ধারণ করি। আপনাদের কল্যাণে আমি কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।