কানাডাগামী ফ্লাইট থেকে ৪৫ যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিমানের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান
ফাইল ছবি

কানাডার টরন্টোগামী একটি ফ্লাইট থেকে ৪৫ যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এই ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন।

বিমানের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ৬ নভেম্বর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৬০৬–এ সিলেট থেকে ৭৪ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তাদের মধ্যে একটি বড়সংখ্যক যাত্রী বিমানের টরন্টো ফ্লাইটের (বিজি৩০৫/৭ নভেম্বর, ২০২৩)। বিমানের সিলেট স্টেশনের কর্মকর্তারা যাত্রীদের ভ্রমণ–সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান, ৪৫ জন যাত্রী একই ব্যক্তির আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কানাডা যাচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নথিপত্র পর্যালোচনা করে সন্দেহ হওয়ায় সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রীদের নথিপত্র ঢাকায় পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটে (পিসিইউ) পাঠানো হয়।

পিসিইউ তখন এসব নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিল্লিতে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির (সিবিএসএ) কাছে পাঠায়। সেখান থেকে প্রথমে জানানো হয়, সিবিএসএর সিস্টেমে যাত্রীর তালিকায় এই যাত্রীদের তথ্য সঠিক রয়েছে। ফলে সিলেট থেকে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয় এবং তারা ঢাকায় পৌঁছান। এর মধ্যে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি থেকে আবার জানানো হয়, যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রের তথ্যের সঙ্গে তাদের থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের কাছে রেন্টেড হাউসের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়।

কানাডার আইন অনুযায়ী একটি রেন্টেড হাউসে ৪৫ জন যাত্রী থাকার কোনো নিয়ম নেই এবং তা আইনের লঙ্ঘন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। যাত্রীদের নথিপত্রগুলো ও কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে ৪৫ যাত্রীকে ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে টরন্টোগামী ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

ঢাকায় পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) মাধ্যমে ওই যাত্রীদের সব তথ্য সিবিএসএর কাছে পাঠানো হয়। পরে সিবিএসএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, উল্লিখিত যাত্রীদের ভিসা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ই–মেইলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

তখন যাত্রীদের হোটেলে থাকতে বলা হলে তারা তাতে অসম্মতি জানান। টরন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরবর্তী সময়ে ইমিগ্রেশন থেকে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা তখন নিজেদের মতো করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বলেছে, যাত্রীর কাছে যথাযথ নথিপত্র না থাকলে বা এ ধরনের আইন লঙ্ঘনের জন্য কানাডা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে যাত্রীপ্রতি ৩ হাজার ২০০ থেকে ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে।

শেয়ার করুন