দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল ও ফলপ্রসূ হোক

সম্পাদকীয়

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষণা মোতাবেক আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিনটি গণতন্ত্রের সুরক্ষায় খুবই আনন্দের। আমরা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানাই।

সংবিধানে সংসদের মেয়াদপূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তাই সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনও সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকারের কাছ থেকে আবশ্যক সব সহায়তা নিয়ে নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে মনে করি।

তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন আগ্রহী সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাদের মতামত শুনেছে। নির্বাচন কমিশন নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। নিবন্ধিত সংলাপে অনাগ্রহী দলগুলোকেও একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু দলগুলো তাদের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলে এমন ভাবনার দলগুলো নির্বাচন চায় না। কিন্তু তারা না চাইলেই তো আর নির্বাচনী ট্রেন থেমে থাকবে না।

আমরা মনে করি, পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পারিক আস্থা, সহনশীলতা দেশ ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক। পারস্পারিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে এখনও সমঝোতা-সমাধান অসাধ্য কিছু নয়।

জনগণকে অনুরোধ করব সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যেন অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। কারণ, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও আবশ্যক ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়েই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। দেশের জনশাসনে জনগণের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র সুসংহত হবে। সেইসঙ্গে প্রত্যাশা রইল- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সফল ও ফলপ্রসূ হয়।

শেয়ার করুন