মালয়েশিয়ায় থামছেই না ধরপাকড়। অনিয়মিত অভিবাসীদের আটক যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে যৌথ অভিযানে বাংলাদেশিসহ অনিয়মিত ৩৭৭ অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিযার অভিবাসন বিভাগ।
অভিযানের পর দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন বিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেন, মালয়েশিয়ার সড়ক পরিবহন বিভাগের (জেপিজে) সঙ্গে যৌথভাবে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে পুত্রজায়া সড়কের আশপাশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মোট ৬০০ জন অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়েরপর এদের মধ্যে থেকে ৩৭৭ জন অভিবাসীর কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২৫০ নারী ও ১২৭ জন পুরুষ রয়েছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন। তবে কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির কাজাং এবং বাঙ্গির দিক থেকে পুত্রজায়ায় প্রবেশের প্রধান সড়কে জেপিজে এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের ২টি স্থানে চেকপয়েন্ট বসিয়ে বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বেশির ভাগই স্থানীয় আলম ফ্লোরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজে বাস যোগে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আটকরা অভিবাসন বিভাগ আইনে ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ লঙ্ঘন করেছেন বলে জানায় অভিবাসন বিভাগ।
অভিবাসীদের পরবর্তী তদন্তের জন্য দেশটির সেলাঙ্গর সেমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিচালক বলেছেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজে নিয়োগ দেন তাহলে ওই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে গ্রেফতার করা হবে।