বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে ভালো খেলেও গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে। তবে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা শক্তিশালী লেবাননকে রুখে দিয়ে ১ পয়েণ্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। এই এক পয়েন্ট বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তিই।
রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় লেবাননের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিং ব্যবধানে বাংলাদেশের তুলনায় ৭৯ ধাপ এগিয়ে লেবানন। তবে ঘরের মাঠে সে ব্যবধান পাত্তা না দিয়ে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। তবে আক্ষেপটা রয়ে গেছে সুযোগ পেয়েও গোল করতে না পারার। একটি, দুটি নয়, লেবাননের বিপক্ষে প্রথমার্ধে কমপক্ষে তিনটি গোলের সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়েছেন মোরসালিন-সোহেলরা।
প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে। ৬৭ মিনিটে গোল করে লেবাননকে এগিয়ে দেন মাজেদ উসমান। তবে সে গোল শোধ করতে খুব একটা সময় নেয়নি বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত এক শটে ৭২ মিনিটে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন মোরসালিন।
বাংলাদেশের ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন গোল সচারচর দেখা যায় না। দূরত্ব, গতি, অ্যাকুরেসি সকল ক্যাটাগরিতেই মোরসালিনের গোলটি অসাধারণ এবং অনন্য।
এই ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত এই তরুণ স্ট্রাইকারের গোল। এত দূর থেকে সুন্দরভাবে গোলের দৃশ্য বাংলাদেশের ফুটবলে দেখা যায় কদাচিৎ।মোরসালিন নয় ম্যাচে চার গোল করে নিজেদের যোগ্যতা ও সার্মথ্যের প্রমাণ দিয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ে এক মিনিট আগে এগিয়ে যাওয়ার সূবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বদলি রফিকুল ইসলাম নিঁখুত পাস দিয়েছিলেন মোরসালিনকে। বক্স থেকে মোরসালিন ঠিকঠাকমতো শট নিতে পারেননি। তার শট আছড়ে পড়ে সাইডনেটে। ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে লেবাননের একটি আক্রমণ রুখে দিয়েছেন বাংলাদেশের বদলি গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ নিয়ে চার বার মুখোমুখি হলো। চার ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ এক জয়, এক ড্র আর দুই বার হেরেছে। হোম ম্যাচে বাংলাদেশ লেবাননের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ড বজায় রাখল। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ০-২ গোলে জিতেছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে বৃষ্টিতে ম্যাচ কাদাময় ছিল। আজ কিংস অ্যারেনা থেকেও বাংলাদেশ কিছু সুবিধা পেয়েছে মাঠের দিক থেকে।