ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের জের ধরে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে। অর্থ্যাৎ অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও বাধা ছিল তাদের।
নিষেধাজ্ঞার কারণে শ্রীলঙ্কা থেকে থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নতুন আয়োজক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
তবে আইসিসি নতুন এক সিদ্ধান্তে দাসুন শানাকা, কুশল মেন্ডিসদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা লাঘব করে নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ এবং আইসিসি আয়োজিত নানা টুর্নামেন্টে খেলার ওপর থেকে বাধা সরিয়ে নিলো আইসিসি। অর্থ্যাৎ, আইসিসির নতুন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে আর কোনো বাধা নেই শ্রীলঙ্কার ওপর।
মঙ্গলবার আহমেদাবাদে আইসিসি’র বোর্ড মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, ক্রিকেটারদের খেলার ওপর এই শাস্তির প্রভাব না পড়াই ভাল। তাই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ এবং আইসিসি’র টুর্নামেন্টগুলোতে শ্রীলঙ্কাকে খেলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা বোর্ডকে আইসিসির পক্ষ থেকে যে অর্থ দেওয়া হয় তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শ্রীলঙ্কায় ২০২৪-এর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের বৈঠকেই তা সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। সেই প্রতিযোগিতা হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২০ সালেও দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায়ের পর এবং চরম ভরাডুবির কারণে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করে অর্জুনা রানাতুঙ্গার অধীনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করেছিলেন।
একদিন পরই অবশ্য আদালতের নির্দেশে পুরনো বোর্ডকে পুনর্বহাল করা হয়। এরপর শ্রীলঙ্কার সংসদে বিল পাশ করা হয়, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে। এরপরই আইসিসির পক্ষ থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে সাসপেন্ড করা হয়।