ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় প্রায় ২০০ ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশিই শিশু। গাজার চারদিকে অবস্থান করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ কোনো কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ হতাহত হচ্ছে। এর মধ্যেই খাবার, বিদ্যুৎ এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
এর মধ্যেই হামাসের সঙ্গে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, আগামী চার দিনে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এ প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বা ওয়ার ক্যাবিনেট। চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদের কয়েক ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি ১০ জন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩০ জিম্মির মুক্তির শর্তারোপ করা হয়েছে। এছাড়া চুক্তিতে চার থেকে পাঁচ দিনের সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লড়াই কিছুদিনের জন্য স্থগিত থাকবে। আরও বেশি জিম্মির মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি আরও দীর্ঘ হবে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি চুক্তির একটি অংশ। অতিরিক্ত ১০ জন করে জিম্মির মুক্তি মানে একদিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়বে।