রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় একটি রড-সিমেন্টের দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি লাশের মধ্যে তরুণের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. রাহিম (২২)। তবে নিহত কিশোরীর পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স ১৫ বছর হতে পারে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, মদ পানের পর বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। আর সেখান থেকে একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি এই দোকানের কর্মচারী মো. সাজু ওরফে মাইকেল (২২)।
পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস বলেন, কোনাপাড়ার মোতালেব চত্বরে বন্ধন এন্টারপ্রাইজ নামের রড–সিমেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সকালে দোকানের গিয়ে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পান। তিনি খবর দিলে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মধুসূদন দাস বলেন, ওই দোকানের অফিসকক্ষে একটি বিয়ারের খালি ক্যান, কোকের বোতলে অল্প পরিমাণ হুইস্কি ও ভাজা মাছ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মদ পানের পর বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।
বন্ধন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শোভন হাসান বলেন, যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কাউকেই তিনি চেনেন না। সাজু দুই মাস ধরে তার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ নিয়েছেন। যতটুকু তিনি জানতে পেরেছেন, রাহিম নামের তরুণ সাজুর বন্ধু। রাহিম ও ওই কিশোরী সাজুর সঙ্গে রাতে দোকানের অফিসকক্ষে গিয়ে মদ পান করেছেন বলে তিনি ধারণা করছেন। সকালে দোকানে এসে দেখেন, সাটার খোলা। কিন্তু অফিসকক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ করা। ওই কক্ষের দরজা কাচের হওয়ায় বাইরে থেকে তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দরজা ভেঙে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে তরুণ রাহিমের লাশ শনাক্ত করেন তার বাবা রমজান আলী। তিনি বলেন, রাহিম ২২ দিন আগে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এসে একটি মাছের খামারে কাজ নেন। তাকে খামারে কাজ দিয়েছিলেন সাজুর এক আত্মীয়। পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি হওয়ায় সাজুর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল রাহিমের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি দাউদকান্দি থেকে ঢাকায় এসেছেন।