সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কিআইবি) মিলনায়তনে ‘সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মিলন ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হই, আমাদের দৈনন্দিন চাহিদায় আমরা যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হই, তাহলে আমরা চিরদিন বাঁকা হাসি এবং করুণার পাত্র হয়ে থাকবো। আমি আজকে দেশের সমগ্র কৃষিবিদকে আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানাই, আপনারা বাঁকা ঠোঁটের হাসি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন। আপনারা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। এক সময় ভাবা হতো সবাই কৃষি কাজ পারে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে সবাই কৃষি কাজ পারে না।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিদদের সমস্যা এবং সম্ভাবনার দিকে ভালোভাবে পর্যালোচনা হওয়া দরকার। শুধু সমস্যার সমাধান একমাত্র সমাধান নয়, সম্ভাবনাকেও পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার পথে কৃষিবিদদের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনম্রভাবে একটি কথা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, অন্য সময় হয় না, কেন হয় না এইখানে নিষ্ঠা এবং দূরদর্শিতা দুটিরই অভাব ছিল বলে এটা হয় নাই। আজ নিষ্ঠা এবং ভালোবাসার ফলে কৃষিবিদ ভাই-বোনরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনে যারা আসছেন কৃষি বিজ্ঞান ও সেক্টরে কাজ করার জন্য তাদের কাছে কৃষির সম্ভাবনার দিকটা তুলে ধরার জন্য আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করবো।
কৃষিবিদদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশে কৃষিবিদরা এক সময় অবহেলিত ছিল। কিন্তু আজকে কৃষিবিদ শুনলে একটু চোখ তুলে তাকানোর অবস্থা হয়েছে। এটা আপনাদের কৃতিত্ব এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান।
কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, আ. লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর।