সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করার জন্য অক্টোবরের শেষদিকে উচ্চ পর্যায়ের একজন বিরোধী নেতার সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৈঠক করেছিলেন বলে দাবি করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) তার বক্তব্যের পুরো ইংলিশ অংশ প্রকাশ করে বাংলাদেশে রাশিয়ার দূতাবাস। এর আগে শুক্রবার শুধুমাত্র খণ্ডিত অংশ দিয়ে একটি এক্স (টুইট) বার্তা দিয়েছিলেন মারিয়া জাখারোভা।
এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করছে।
মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, ‘খবর পাওয়া যায় (রিপোর্টেডলি)’ যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও বিরোধী দলেন নেতা ওই বৈঠকে সরকারবিরোধী বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন। রাষ্ট্রদূত ওই নেতাকে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকেও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।’
মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ‘স্বচ্ছতা’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন নিশ্চিত করার অজুহাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়টি আমরা অনেকবার বলেছি। আজ আমি আবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।”
তিনি বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ নগ্নভাবে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন এবং এটিকে ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা যায়।’
মুখপাত্র বলেন, ‘রাশিয়ার মনে কোনও সন্দেহ নেই যে জানুয়ারি ৭, ২০২৪ এ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী, স্বাধীনভাবে এবং বিদেশিদের সহায়তা ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে জাখারোভা যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্র নীতি ও পিটার হাসের বিভিন্ন বৈঠক বিষয়য়াদী ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। একটি দলের ওপর অন্য দলের প্রতি তাদের কোনও সমর্থন নেই।’
বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও সেটি চাই এবং সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনিুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এবং বাংলাদেশের জনগণ উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে।’