দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি

মত ও পথ ডেস্ক

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

৩০০ আসনের জন্য নিয়োজিত ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সিইসি এসব মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

সিইসি আরও বলেন, আমরা আশ্বস্ত করছি পৃথিবীর অনেক দেশ সার্বভৌম নয়। আমাকে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কমেন্ট করতে পারে আমি কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হামকি ধুমকি দিতে পারছি না। তবে আমাকে বাঁচাতে হলে আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমাদের বা বাহিরের… ওরা (বিদেশি) খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের (বিদেশিদের) একটাই দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা অবিতর্কিত ফলাফল দেখতে চাই। সব এজেন্ট যেন ফলাফল গ্রহণ করেন।’

সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে সততা এবং সাহসিকতা যেন থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনও প্রজাতন্ত্র হতে পারে না। প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজততন্ত্র খুব একটা খারাপতন্ত্র আমরা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা সব থেকে জনপ্রিয়। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে যদি রাখতে হয় তাহলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক
অনাকাঙ্খিত।

নির্বাচন ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে এটা কাঙ্খিত ছিল না। সেই জন্য বলা হয় ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয় পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না ওটা পাবলিক পারসেপশন এটার কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।

সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন