২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হয়েছে গত রোববার। যেসব পরীক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায়নি বা বা কোনো বিষয়ে প্রাপ্ত ফলে আপত্তি রয়েছে তারা চাইলে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারবে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হলেও আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রতি বিষয়ের ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
ফল প্রকাশ করার পর পুনর্নিরীক্ষার বিষয়টি জানান আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার।
যেভাবে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করবেন
শুধুমাত্র টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকেই ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে (ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে ডিএইচএ, বরিশাল বোর্ডের ক্ষেত্রে বিএআর)। এরপর স্পেস দিয়ে রোল লিখে আবার স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। (উদাহরণ: RSC DHA 123456 174 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।) একাধিক বিষয়ের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণে কমা দিয়ে সাবজেক্ট কোড এসএমএস করতে হবে। যেমন- 174, 175, 176 ইত্যাদি।
মেসেজ সেন্ড হলে টেলিটক থেকে পিন নম্বরসহ কত টাকা নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি ফিরতি এসএমএস আসবে। পিন নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এতে সম্মত হলে আবারও মেসেজ অপশনে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে ‘পিন নম্বর’ লিখে স্পেস দিয়ে নিজস্ব মোবাইল নম্বর (যেকোনো অপারেটর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। (উদাহরণ: RSC<>YES<>PIN-NUMBER<>MobileNumber লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
প্রতি বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনের জন্য ফি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ে শুধু প্রথম পত্রের আবেদন করতে হবে। প্রথম পত্রের আবেদন করলে দ্বিতীয়পত্রের আবেদনও বিবেচিত হবে। দুই পত্রের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে। এছাড়া ফল পুনর্নিরীক্ষণে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
পুনর্মূল্যায়নে যেসব বিষয় দেখা হয়
বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো— উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়।
তবে, পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যেমন— পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৬ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো; এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যেন পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু এই ৬ নম্বরের জায়গায় ৮ নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।
যারা খাতা চ্যালেঞ্জ করবেন তাদের এ বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে, পড়ে আবেদন করার অনুরোধ করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।