সংসদ নির্বাচন : প্রার্থীদের হলফনামায় দিতে হবে ৮ তথ্য

মত ও পথ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ৮টি তথ্য দিতে হবে। প্রার্থীকে কোন কোন তথ্যে কী কী কাগজপত্র দাখিল করতে হবে সে বিষয়ে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ এর দফা (৩খ) অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য ও কোনো কোনো তথ্যের স্বপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

universel cardiac hospital

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছে কিনা এবং হলফনামার তথ্যসমূহ যথাযথ কিনা; রিটার্নিং অফিসার তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাবলী ভোটারদের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য প্রচারের সুবিধার্থে প্রার্থীদের নিকট হতে হলফনামার মূল কপি ছাড়াও আরও দুটি ফটোকপি নেওয়া হবে।

প্রার্থীর হলফনামায় যে ৮ তথ্য দিতে হবে-

১. প্রার্থী কর্তৃক অর্জিত সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটসহ উত্তীর্ণ পরীক্ষার নাম (এ ঘর খালি রাখা যাবে না, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে নিরক্ষর, স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে। তবে বাস্তবে এমনও হতে পারে যে সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট কোনো প্রার্থীর কাছে নেই। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যোগ্যতা এমএ তবে সময়াভাবে তা সংগ্রহ করতে না পারায় বিএ পাশের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হলো- এভাবেও তথ্য দেওয়া যেতে পারে)

২. প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কিনা; এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিতে হবে।

৩. অতীতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কিনা, থাকলে তার রায় কী ছিল? (প্রার্থী সকল তথ্য প্রদান করবেন এটাই প্রত্যাশিত। তবে অতীতের মামলা সংক্রান্ত, বিশেষ করে অনেক পুরনো হলে, বিশদ তথ্য প্রার্থীর কাছে সঙ্গত কারণেই নাও থাকতে পারে। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়ে গেছে, বা খালাস পেয়েছেন অথবা অনেক আগে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এমন ক্ষেত্রে বিশদ তথ্য না দিতে পারার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে না। তবে দণ্ডিত হয়ে থাকলে এবং সহজলভ্য তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে উল্লেখ না করার বিষয় প্রমাণিত হলে মনোনয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না)।

৪. পেশার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।

৫. আয়ের উৎস বা উৎসসমূহ; আয়কর রিটার্ন এবং মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত অনুরূপ তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সমীচীন।

৬. প্রার্থীর নিজের ও অন্যান্য নির্ভরশীলদের পরিসম্পদ ও দায় এর বিবরণী (উল্লেখ্য যে, প্রার্থীর টিআইএন নম্বর, সম্পদ ও দায় এবং বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণী ফরম-২১ ও তার সম্পদ বিবরণী সম্বলিত সর্বশেষ দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ব্যতীত মনোনয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। আয়কর রিটার্নের কপি গেজেটেড কর্মকর্তা/আয়কর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রত্যয়ন করলেও গ্রহণযোগ্য হবে)।

৭. আগে জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন কিনা এবং থাকলে ভোটারদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং এর কী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হয়েছিল এ সংক্রান্ত তথ্যাদি (ইতোপূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলেই কেবল এটি প্রযোজ্য হবে। কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকলে ‘প্ৰতিশ্ৰুতি নেই’ অথবা ‘অৰ্জন নেই’ ইত্যাদি লেখা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে)।

৮. কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রার্থী কর্তৃক একক বা যৌথভাবে বা প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীল সদস্য কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে ওই সব প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্যও সঠিকভাবে দিতে হবে।

শেয়ার করুন