সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বুধবার (২৯ নভেম্বর) অষ্টম দফার এ অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকার সড়কে সকাল থেকে চলছে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, রিকশাসহ আরও বেশকিছু যানবাহন। তবে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস।
রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী ও মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
সকাল থেকেই অফিসগামী মানুষের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বাসের চাপ বাড়ায় ও থেমে থেমে যাত্রী নেওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় গাড়ির জটলাও তৈরি হয়। যদিও অবরোধ ছাড়া সাধারণ দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
এদিকে, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলী ও গাবতলী এলাকায় অবরোধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে। সড়কে যানজট নেই। বেশ কিছু পাবলিক ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকার বাইরের যাত্রীরা।
অন্যদিকে, সকাল থেকে গুলিস্তান, টিকাটুলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা, শনির আখড়া ঘুরে দেখা গেছে গাড়ি চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক।
রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, পণ্যবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, সায়েদাবাদ, টিকাটুলীতে (সালাউদ্দিন হাসপাতালের সামনে) যানজটে পড়তে দেখা গেছে যাত্রীদের। যদিও কিছুক্ষণ পরেই তা স্বাভাবিক হয়।
অফিসের কাজে যোগ দিতে গুলিস্তান যাচ্ছেন সাইফুল বাশার। তিনি মধ্য বাড্ডা এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানান, প্রথমদিকে বাইকে করেই অফিসে যেতাম। ভয় পেয়েছিলাম তখন গাড়িতে আগুন দেওয়ায়। তবে প্রতিদিন এত টাকা খরচ করে আসা যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখন ভয় থাকলেও বাসে যাতায়াত করছি। এখন রাস্তায় বাস চলাচল বেড়েছে।
রিকশা চালক ছদর আলী জানান, রাস্তায় প্রতিদিন এ সময়ে গাড়ির চাপে জ্যাম দেখা দেয়। এখন গাড়ি বাড়লেও জ্যাম নেই। মানুষজন বের হচ্ছে। কাজ তো বন্ধ করে রাখা যায় না।
তবে এসব এলাকায় চোখে পড়েনি দূরপাল্লার কোনো বাস চলছে। যাত্রীর অভাবে এসব এলাকায় বাস চলাচল করছে না বলে জানান কাউন্টার ম্যানেজাররা।
বিমানবন্দর থেকে নোয়াখালী ও ফেনীমুখী বাস স্টার লাইনের বাড্ডা কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, ১ থেকে ২টা বাস ছাড়া হচ্ছে সময়ে সময়ে। যাত্রী তেমন একটা বের হয় না অবরোধে। বাস চালায়ে কী হবে।