ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে পঞ্চম দফায় এই ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সদ্য এই মুক্তিপ্রাপ্তদের ১০ জন ইসরায়েলি এবং দুজন বিদেশি নাগরিক। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে ইসরায়েল মঙ্গলবার আরও ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। আনাদোলু সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়ার পর রেড ক্রসের একটি বাস ১৫ নারী ও ১৫ শিশুকে নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার কাছে বেইটোনিয়া শহরে ইসরায়েলের ওফার সামরিক কারাগার ছেড়ে গেছে।
অন্যদিকে হামাস আরও ১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) জানিয়েছে। আইসিআরসি বলেছে, তারা ১২ জন বন্দিকে মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা থেকে স্থানান্তর করার কাজে সফলভাবে সহায়তা করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের ১০ জন ইসরায়েলি ও দুইজন থাইল্যান্ডের নাগরিক এবং তারা ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। এ চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।
যদিও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে এসেছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে। তবে শেষমুহূর্তে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়।
বিবিসি বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় বন্দি মোট ৮১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১ জন ইসরায়েলি এবং তাদের সবাই নারী ও শিশু।