টানা চতুর্থবারের মতো জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সস্ত্রীক জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট মাহাবুল আলম খোকন প্রমুখ।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রথমবার যখন নির্বাচন করতে আসি, তখনও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। দ্বিতীয়বার যখন এসেছি তখনও একই উদ্দেশ্য ছিল। তৃতীয়বারও একই উদ্দেশ্য ছিল এবং চতুর্থবারও একই উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। তার কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। এবারও জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিপক্ষ পার্টি সম্পর্কে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিসহ তরুণ সমাজ যেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে না পৌঁছে, জনগণ নিশ্চয়ই সেই বিষয়টি বিবেচনা করে ভোট দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফুল হাই সাচ্চু। পরে ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর লুৎফুল হাই সাচ্চু মারা যাওয়ার পর আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচন দেয় কমিশন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।