দিনের শুরুটা যে আশা নিয়ে হয়েছিল, পূরণ হয়নি সেটি। তবে বাংলাদেশের রানটা পৌঁছেছে বেশ ভালো জায়গায়। নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। এই রান করে জিততে পারলে রেকর্ডই করবে তারা। কারণ এর আগে কখনো এত রান তাড়া করে ম্যাচ জেতেনি নিউজিল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রান করে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
৩৩২ রান করে এর আগে কখনো টেস্ট জেতেনি নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৪ রান করে জেতে তারা, সেটিই এখনও তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া। বাংলাদেশকে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে ৩ উইকেটে হারায় ৩১৭ রান করে, সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত। ১৯৮ বলে ১০৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংসের ইতি হয় তাতে।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হয়েছিলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি।
মুশফিকুরও হন এলবিডব্লিউ। ১১৬ বলে ৬৭ রান করার পর এজাজ প্যাটেলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। তিন স্বীকৃত ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিন্তু তিনি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও অপর পাশের ব্যাটাররা লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি। ২৭ বলে ১০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান, ৭ বলে ১০ রান আসে শরিফুলের ব্যাট থেকে। ৭৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।