দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতাদের গণহারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি হেভিওয়েট কারও সীমানা পেরিয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যায়, এটাতে আমরা বাধা দিতে পারি না। গণতন্ত্র হলো প্রতিযোগিতা। সুষ্ঠু নির্বাচন, সুস্থ প্রতিযোগিতা। এখানে প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করি আমরা।’
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিং করেন ওবায়দুল কাদের। সেই ব্রিফিংয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারা আতঙ্কিত কি না— সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে সরাসরি বহিষ্কার হবেন। অতীতে প্রায় সব নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি কেউ স্বতন্ত্র দাঁড়ালে তাকে চাপ দিয়ে বসিয়ে দেওয়ারও নজির আছে। এবার এখনো সে রকম কিছু করেনি আওয়ামী লীগ।
দলীয় স্বতন্ত্রকে বসিয়ে দিতে হস্তক্ষেপ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন করুক, দেখা যাক, যাকে জনগণ চায়, সে–ই জিতবে। নির্বাচনে দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড় দিচ্ছে, এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, অনুপ্রবেশকারী কারা, চিহ্নিত করুন।
শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এটা সামনের দিকে আরও বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো সংঘাত-বিশৃঙ্খলা হলে পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটার প্রতি আস্থা থাকবে। ১৪ দলের শরিকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।