১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, কাল (বুধবার) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, গতকাল আমাদের ১৪ দলের নেত্রী একটি সভা করেছেন। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন আসনের বিষয়ে কথা উঠে এসেছে। আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না।
বৈঠক শেষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক এবং রাতের খাবারের মধ্য দিয়ে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিয়েছেন যে, জোট আছে, জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হব।
ইনু বলেন, যে আসনে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে। যে কোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। জাসদ সভাপতি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কী হবে তা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। আরও সময় আছে আলোচনা করে দেখব। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।
ইনু বলেন, কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় না। তা করার জন্য যার যার দল তার প্রার্থীকে অনুরোধ করতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি মনে করি না মনোমালিন্য কিছু হবে। দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করবে শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে আমির হোসেন আমুর বাসায় তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।
সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা। সেই বৈঠকে নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টনের জন্য চার সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।