ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ঝরানো ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী শশী কান্ত জানিয়েছেন, মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের স্থলভাগে উঠে আসছে। এটি ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় করবে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যই এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়া কবির জানিয়েছেন, বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সে-সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর সংক্ষুব্ধ থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এজন্য সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।