ব্যাংকের বিপর্যয় ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ

মত ও পথ ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংক
ফাইল ছবি

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, পরিচালকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ, ঋণ কেলেঙ্কারি, লাগামহীন ঋণখেলাপি, মূলধন সংকটসহ নানা সমস্যায় সংকটে পড়েছে ব্যাংক খাত। পাশাপাশি সুশাসনের অভাবে ব্যাংকগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনে ব্যাংক খাতে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ব্যাংকের তারল্য সংকট, পরিচালক নিয়োগ, উচ্চমাত্রার খেলাপি এবং বেনামী ঋণ বন্ধ করতে সংস্কার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এসব বিবেচনায় আর্থিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি ব্যাংকের আস্থা ধরে রাখা ও বিপর্যয় ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগামীতে চারটি ক্যাটাগরিতে ব্যাংকগুলোর মান নির্ধারণ হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ রেশিও, মালিকদের শেয়ার রেশিও, মূলধন সংরক্ষণসহ খেলাপি ঋণের হার বিবেচনায় ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা প্রকাশ করা হবে। এতে করে মন্দ বা খারাপ মানের ব্যাংক সহজে চিহ্নিত করা যাবে। খারাপ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া নতুন আমানত সংগ্রহ ও কোনো ঋণ দিতে পারবে না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ (পিসিএ)’ ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বিপর্যয়ের হাত থেকে ব্যাংকিং খাতকে উদ্ধার করতে সংশোধনীমূলক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশোধনী পরিকল্পনায় ব্যাংকগুলোকে ক্যাপিটাল টু রিস্ক অ্যাসেট রেটিও (সিআরএআর), ক্যাপিটাল রেটিও (সিআর), কমন ইক্যুইয়িটি (সিইটি), নেট নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং কর্পোরেট সুশাসনকে ভিত্তি করে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

এসব সংশোধনী কার্যাবলি ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশোধনীগুলো দেশের অভ্যন্তরে সব তফসিলি ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকের কেন্দ্র থেকে শাখা পর্যন্ত প্রয়োগ করতে হবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে পর্ষদ সভার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন