দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সারাদেশের ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলি করতে প্রস্তাব তৈরি করে পুলিশ সদর দপ্তর। এ প্রস্তাব বুধবার নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আজ এ অনুমোদন পাওয়া গেল।
এ ছাড়া ১১০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলি করতেও নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কামরুল আহসান বলেন, যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পার করেছেন, তাদের এই বদলির তালিকায় রাখা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারা দেশে বর্তমানে ৬৫০টির বেশি থানা রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ৩৩টির ওসিকে বদলি করতে তালিকা তৈরি মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ১১০ ইউএনওকে বদলির প্রস্তাব তারা পেয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার প্রথম পর্যায়ে দেশের আট বিভাগের ৪৭ ইউএনওকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮, বরিশাল বিভাগের ২, খুলনা বিভাগের ৪, ময়মনসিংহ বিভাগের ৬, সিলেট বিভাগের ৬, রাজশাহী বিভাগের ৬ ও রংপুর বিভাগের ২ জন রয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।