আন্দোলনের নামে বিএনপি ধ্বংসাত্মক ও নাশকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেছেন, তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে সরকারের কিছুই হবে না। ধ্বংসাত্মক ও নাশকতার কারণে বিএনপি নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে একে একে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা নিয়ে আনন্দ র্যালি করেন সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। এর প্রমাণ করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। সীমান্তবর্তী অনেক জেলা মুক্ত হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত হয়। সেইদিন শহরের পুরাতন কাচারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী। এসময় তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন উৎসব মুখর হবে কিনা? এ নিয়ে প্রথমে আমার ব্যক্তিগত শঙ্কা ছিল। কিন্তু আমি মনে করি সেই শঙ্কা আর নেই। মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে কেন্দ্রে আসবে এবং ৫০ ভাগ ভোট পড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা নিয়ে আনন্দ র্যালি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। র্যালিটি শহরের সুর সম্রাট ওম্মদ অলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সভায় সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা সহ তাদের সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।