উৎসব মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৯তম শিশু মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত শিশু মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় জেলার ৮টি উপজেলার ১৩১ টি বিদ্যালয়ের ১৭৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
দুপুরে পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, মাউশি’র প্রাক্তন মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ও চিনাইর মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশের জন্যই আমরা ২০০২ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তির আয়োজন করে আসছি। এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ব্যতিত ৮টি উপজেলার ১৩১টি বিদ্যালয়ের ১৭৫০ জন শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
এ ব্যাপারে চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন কয়েকটা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে এই পরীক্ষায় পুরো জেলার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। আজ নাসিরনগর, সরাইল, নবীনগর, কসবাসহ বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছে। শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য আমাদের এই আয়োজন সব সময় অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, জেলার ৮ উপজেলা থেকে ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণি থেকে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ পার্সেন্ট শিক্ষার্থীকে ট্যালেন্টপুলে ৩ হাজার টাকা এবং ১০ পার্সেন্ট শিক্ষার্থীকে জেনারেল গ্রেডে ২৫০০ টাকা করে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হবে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে শিশুমেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের হাতে এই বৃত্তির টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হবে।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকেরা।