ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে দুই মাস। ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৭ ফিলিস্তিনির হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাওয়ার জন্য গাজা স্ট্রিপের কোথাও কোনো নিরাপদ স্থান নেই। কারণ সেখানে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে সংঘাত পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দফায় দাফায় গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। একে অপরের সামরিক উপস্থিতি লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে তার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অবরোধ গাজার শিশুদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার শামিল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে হামাসের পক্ষ নেয় হিজবুল্লাহ। পরে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে ইসরায়েলে রকেট ও গোলা নিক্ষেপ শুরু করে লেবাননের ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী।
আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৫০ বার হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলায় কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য হতাহত হয়েছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা