চলতি বছরেই ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

মত ও পথ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

চলতি বছরেই ১৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী জানান, পরবর্তী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে জাতীয় দিবস হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

শ্রদ্ধা জানানো শেষে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকালও এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে। আশা করছি ২৬ মার্চের আগে তা সম্পন্ন হবে। আবেদনও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন >> শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বজনের শ্রদ্ধা

যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের একটা সংখ্যা আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে বিচারও করা হচ্ছে। তবে যারা রাজাকার ও আলবদর ছিল তাদের সংখ্যা অনেক। তাদের সবার বিচার করা হয়নি। এসব যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রণয়নে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তালিকা তৈরির কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।

প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখন ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সঙ্গে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী শেষ ঘৃণ্যতায় মেতে ওঠে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করার নীল নকশায় শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।

আরও পড়ুন >> শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পরবর্তী সময়ে ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মহপুরের রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।

শেয়ার করুন