সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আর অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা থাকছে না। আগামী বছর (২০২৪ সাল) থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। বছরের মাঝামাঝি হবে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এবং বছর শেষে নেওয়া হবে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন। আর দশম শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা এবং নির্বাচনী পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে শিক্ষাপঞ্জি (অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার) প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী—২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর নতুন শিক্ষাক্রমের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে মে মাসে। ২৩ মে থেকে মূল্যায়ন শুরু হয়ে চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। ১০ জুলাই ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে ২১ নভেম্বর থেকে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চলবে। মূল্যায়নের ফল প্রকাশ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ সূচি অনুযায়ী ষান্মাসিক ও বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের আয়োজন করতে হবে। মূল্যায়নের কাগজপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে স্কুলে। মূল্যায়নের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অনুমতি নিতে হবে। মূল্যায়নের প্রশ্ন শিক্ষকদের নিজেদের প্রণয়ন করতে হবে। কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নে মূল্যায়ন করা যাবে না।
অন্যদিকে ২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করা হবে। এ তিন শ্রেণিতেও কোনো পরীক্ষা থাকবে না। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ সাল থেকে সেটাও বাতিল হবে। ওই বছর থেকে চতুর্থ-পঞ্চমে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। ফলে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।