অবশেষে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন ও ইউরোপ মহাদেশের জন্য জয় বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও এর আগে হাঙ্গেরির বিরোধিতায় বন্ধ ছিল এই আলোচনা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ২৭টি দেশের শীর্ষ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। যেখানে মলদোভার সঙ্গেও আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে ব্লকটি।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে এ বিষয়ে সম্মতির কথা জানিয়ে এটিকে তাদের জনগণ ও মহাদেশটির জন্য আশার একটি স্পষ্ট সংকেত বলে অভিহিত করেছেন।
এক্স বার্তায় জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তকে ইউক্রেন ও ইউরোপের জন্য জয় বলে অভিহিত করেছেন। এই জয় উৎসাহ ও শক্তি জোগাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেছেন, এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও একটি দিন যা আমাদের ইউনিয়নের ইতিহাসে খোদাই করা থাকবে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই বিশ্বের নজর চলে যায় মধ্যপ্রাচ্যে। গুরুত্ব হারায় ইউক্রেন সংঘাত। ইউক্রেনের জন্য কমে যায় মার্কিন সহায়তা। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে হোয়াইট হাউজে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মূল লক্ষ্য ছিল সামরিক সহায়তা আদায় করা।
ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য বাইডেনের প্রস্তাবিত সহায়তা প্যাকেজ আটকে দেয় রিপাবলিকানরা। তাই রিপাবলিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন জেলেনস্কি।
সূত্র: আল-জাজিরা