বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। তাকে পেছনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যে কোনো অপশক্তিকে সুযোগ দেয়া হবে না। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে তার নেতৃত্বে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ৫৩তম মহান বিজয় দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেছেন।
সারাদেশের ন্যায় বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩তম মহান বিজয় দিবস পালন করছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। দিবসটির অংশ হিসেবে শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব।
প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এ সময় শহীদ স্মৃতিসৌধে তিনি স্লোগান ধরেন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা।
পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ জেড এম আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে সরকারি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এ সময় শহীদ মিনারে আসা সাধারণ মানুষের কণ্ঠে ছিল ‘৭১ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় নব্য রাজাকারদের ঠাঁই নাই।’
এ সময় স্মৃতিসৌধে আসা সাধারণ মানুষ বলেন, স্বাধীন দেশে ধর্ম ব্যবসায়ী নব্য রাজাকারদের আস্ফালনকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
এদিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে।