৭ জানুয়ারি বিজয় আমাদের পদ চুম্বন করবে: মোকতাদির চৌধুরী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি। ছবি: মোহাম্মদ সজিবুল হুদা ভূঁইয়া

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় কোমর বেঁধে নামতে হবে এবং যার যার এলাকায় এক একটি দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেখিয়ে দিব বিএনপি-জামায়াত এবং যারা বাংলাদেশের বিপক্ষের লোক তাদের স্থান বাংলাদেশে নাই। আওয়ামী লীগ বিরোধী কোনো অপশক্তিকে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দিব না। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, সাংবিধানিকতার যে অগ্রযাত্রা আছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ধরার চলমান আছে সেই ধারা ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে। এটিকে স্তব্ধ করে দেওয়ার শক্তি কারও নাই।

১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে নির্বাচন কমিশন থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে এবং আগামী ৭ জানুয়ারি বিজয় আমাদের পদ চুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ। নৌকার বিজয় হবে এবং দেশে আবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০৪১ সালে আমরা ইনশাআল্লাহ একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী এবং ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। এই স্মার্ট বাংলাদেশের পথযাত্রায় আমাদের ৭ জানুয়ারির বিজয় হবে মাইলফলক।

বাসুদেব ইউনিয়নে নৌকার সমর্থনে মোকতাদির চৌধুরীর নির্বাচনী সভা

এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরীর প্রথম নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নে।

সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়, নৌকায় ভোট দিলে দেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বাসুদেব ইউনিয়নবাসী আমার আপনজন, আমার আত্মার আত্মীয়। আমি তিনবার নির্বাচন করেছি। তিনবারই বাসুদেব থেকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। এবারও বাসুদেব থেকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমি আজ আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনাই, দোয়া চাইতে এসেছি।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি যতবারই নির্বাচন করেছি আপনারা আমাকে ভালোবেসে বাক্সভরে ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, বাসুদেববাসী সব সময় আমার পাশে ছিলেন, আমি জানি আপনারা আগামীতেও আমার পাশে থাকবেন।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলাম। তিনবার আপনাদের ভোটে এমপি হয়েছি। আমি এমপি হওয়ার আগে এই এলাকা কেমন ছিলো, বর্তমানে কেমন আছে তার বিচার বিশ্লেষন আপনারা করবেন। তিনি বলেন, বাজারে দোকানীরা অনেক ধরনের পসরা নিয়ে বসে থাকেন। আপনারা কিন্তু ভালো পসরা কিনেন। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা বিচার বিশ্লেষণ করে ভোট দিবেন।

তিনি বলেন, সুশিক্ষিত মানুষেরাই কিন্তু রাজনীতি করে, সুশিক্ষিত মানুষরাই কিন্তু জনপ্রতিনিধি হয়। এখানে অ্যাডভোকেট আলী আজম সাহেব এমপি হয়েছেন, এখানে অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু সাহেব এমপি হয়েছেন। এখানে আবদুল হাই সাহেব দুইবার এমএলএ হয়েছেন। এই ইউনিয়নের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন।

বাসুদেবের পরিবেশ একটি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ, সংস্কৃতি বান্ধব পরিবেশ। আজ বাসুদেবে পরিবেশ কিন্তু শহর থেকে কোনো অংশে কম নয়। বাসুদেবে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা কি চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান। যদি উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান তাহলে আপনারা নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন। তিনি বলেন, এই নৌকা মার্কা হক-ভাসানীর নৌকা। এই নৌকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৌকা। এই নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা। এই নৌকা জনগণের নৌকা।

তিনি বলেন, চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন। নৌকাকে বিজয়ী করলে দেশে উন্নয়ন হয়, নৌকাকে বিজয়ী করলে দেশ এগিয়ে যায়।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম. আলম ভূইয়ার (মোবাশ্বের) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আবদুল মতিন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

শেয়ার করুন